মাশরাফির বিশ্বাস, সৌম্য ঠিক পথেই আছেন
কদিন
আগের কথা। সতীর্থরা ওয়ার্মআপ শুরু করেছেন, কিন্তু সৌম্য সরকার ব্যস্ত
থিলান সামারাবীরা ও চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে। ফুটওয়ার্কে কিছু একটা গড়বড়
হচ্ছে, সেটিই কোচদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন বাঁহাতি ওপেনার। সমস্যার
সমাধানে খানিক পরেই কোচ তাঁকে নিয়ে চললেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের
ইনডোরে। গতকাল বাংলাদেশের অনুশীলনের সময়ও বৃষ্টির মধ্যে ইনডোরে কোচের
সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং নিয়ে কাজ করলেন সৌম্য।
চেষ্টার কমতি নেই, কিন্তু সৌম্য প্রত্যাশিত ফলটা পাচ্ছেন কোথায়? এমনিতেই সময়টা বাজে যাচ্ছে তাঁর। আত্মবিশ্বাসটা যেন আরও টলে গেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে। কখনো তিনি আউট হচ্ছেন দুর্দান্ত কোনো বলে, কখনো বা নিজের ভুলে। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দৌলত জাদরানের লাফিয়ে ওঠা বলটা ভালোভাবে না পড়েই পুল করতে গিয়ে আউট। অথচ এই পুলেই সৌম্য কত বাউন্ডারি মেরেছেন, এগিয়ে গেছেন নান্দনিক ইনিংস গড়ার পথে। তবে কি প্রত্যাশার বিষম চাপেই ভেঙে পড়ছেন তিনি?
গত বছরটা স্বপ্নের মতো কাটানো সৌম্য কেন যেন দিগ্ভ্রান্ত! ২০১৫ সালে ১৫ ম্যাচে ৫১.৬৯ গড়ে ১ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ৬৭২ রান করা বাঁহাতি ওপেনার এ বছর নিজেকে চেনাতে পারেননি এখনো পর্যন্ত। ১৬টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১৫.৯৩ গড়ে মাত্র ২৫৫ রান। যে ওয়ানডে তাঁর প্রিয় সংস্করণ, প্রায় ১০ মাস পর সেটিতে শুরুটাও কী বাজে! সব মিলিয়ে জটিল এক ধাঁধায় পড়ে গেছেন সৌম্য। সেটির উত্তর হয়তো তিনি খুঁজছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না!
দলের সবাই অবশ্য আশা করছেন, এ অবস্থাটা সাময়িক। আবারও সৌম্য দেখা দেবেন চেনা রূপে। আজ সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা শুনে মনে হলো, সৌম্যর ওপর থেকে চাপটা কমানোরই চেষ্টা করছেন। ‘সে ক্যারিয়ারের শুরুতে যেটা করেছে, তা অপ্রত্যাশিত। ওই পারফরম্যান্স ধরে যদি এখন তাকে মূল্যায়ন করেন, ওর সঙ্গে অন্যায় হবে। দেখেছি, কেউ যদি ভালো খেলে, পরে খারাপ খেললে ১০ দিন পর তাকে নিয়ে কথা হয়। আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ১০ ম্যাচে আপনাকে বিশ্লেষণ না করলে ১১তম ম্যাচে ঠিকই অন্যভাবে বিশ্লেষণ করা শুরু করবে প্রতিপক্ষ। আমার বিশ্বাস, সৌম্য ঠিক পথেই আছে। সে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর চেয়ে বেশি কিছু করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। হয়তো মনোযোগ আরেকটু বাড়াতে পারে। সেটা সে করছেও’—বললেন মাশরাফি।
এই দুঃসময় এখন দুঃসহ মনে হলেও পরে এটাই সৌম্যর কাজে আসবে বলেও মনে করেন মাশরাফি, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখবেন, শুরুতে অনেকে সংগ্রাম করে। পরে পরিণত হয়ে ভালো খেলে। সৌম্য এখনো তরুণ। আগের পারফরম্যান্সের সঙ্গে না মিলিয়ে এখান থেকে শুরু করতে পারে। এই কঠিন সময়টা ওকে আরও পরিণত করবে।’
চেষ্টার কমতি নেই, কিন্তু সৌম্য প্রত্যাশিত ফলটা পাচ্ছেন কোথায়? এমনিতেই সময়টা বাজে যাচ্ছে তাঁর। আত্মবিশ্বাসটা যেন আরও টলে গেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে। কখনো তিনি আউট হচ্ছেন দুর্দান্ত কোনো বলে, কখনো বা নিজের ভুলে। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দৌলত জাদরানের লাফিয়ে ওঠা বলটা ভালোভাবে না পড়েই পুল করতে গিয়ে আউট। অথচ এই পুলেই সৌম্য কত বাউন্ডারি মেরেছেন, এগিয়ে গেছেন নান্দনিক ইনিংস গড়ার পথে। তবে কি প্রত্যাশার বিষম চাপেই ভেঙে পড়ছেন তিনি?
গত বছরটা স্বপ্নের মতো কাটানো সৌম্য কেন যেন দিগ্ভ্রান্ত! ২০১৫ সালে ১৫ ম্যাচে ৫১.৬৯ গড়ে ১ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ৬৭২ রান করা বাঁহাতি ওপেনার এ বছর নিজেকে চেনাতে পারেননি এখনো পর্যন্ত। ১৬টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১৫.৯৩ গড়ে মাত্র ২৫৫ রান। যে ওয়ানডে তাঁর প্রিয় সংস্করণ, প্রায় ১০ মাস পর সেটিতে শুরুটাও কী বাজে! সব মিলিয়ে জটিল এক ধাঁধায় পড়ে গেছেন সৌম্য। সেটির উত্তর হয়তো তিনি খুঁজছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না!
দলের সবাই অবশ্য আশা করছেন, এ অবস্থাটা সাময়িক। আবারও সৌম্য দেখা দেবেন চেনা রূপে। আজ সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা শুনে মনে হলো, সৌম্যর ওপর থেকে চাপটা কমানোরই চেষ্টা করছেন। ‘সে ক্যারিয়ারের শুরুতে যেটা করেছে, তা অপ্রত্যাশিত। ওই পারফরম্যান্স ধরে যদি এখন তাকে মূল্যায়ন করেন, ওর সঙ্গে অন্যায় হবে। দেখেছি, কেউ যদি ভালো খেলে, পরে খারাপ খেললে ১০ দিন পর তাকে নিয়ে কথা হয়। আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ১০ ম্যাচে আপনাকে বিশ্লেষণ না করলে ১১তম ম্যাচে ঠিকই অন্যভাবে বিশ্লেষণ করা শুরু করবে প্রতিপক্ষ। আমার বিশ্বাস, সৌম্য ঠিক পথেই আছে। সে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর চেয়ে বেশি কিছু করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। হয়তো মনোযোগ আরেকটু বাড়াতে পারে। সেটা সে করছেও’—বললেন মাশরাফি।
এই দুঃসময় এখন দুঃসহ মনে হলেও পরে এটাই সৌম্যর কাজে আসবে বলেও মনে করেন মাশরাফি, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখবেন, শুরুতে অনেকে সংগ্রাম করে। পরে পরিণত হয়ে ভালো খেলে। সৌম্য এখনো তরুণ। আগের পারফরম্যান্সের সঙ্গে না মিলিয়ে এখান থেকে শুরু করতে পারে। এই কঠিন সময়টা ওকে আরও পরিণত করবে।’
No comments:
Post a Comment