ওয়ালশের চোখে শেষ ২ ওভার
২
ওভারে দরকার ২১ রান। হাতে ৩ উইকেট। আফগানিস্তানের জয়টাকেই ম্যাচের
সম্ভাব্য ফলাফল মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু জয় নয়, শেষ ২ ওভারে যে উল্টো তাদের
স্বপ্নের সমাধি রচিত হবে, সেটা কে জানত!
৪৯তম ওভার: অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দিলেন। স্লগ ওভারের পরীক্ষিত ‘সৈনিক’ এই পেসার। বল হাতে নিয়েই রুবেলের প্রতিজ্ঞা, ‘আর যা-ই করি, রান দেব না। ইয়র্কার মারতে হবে। যা করার, আমাকে আর তাসকিনকেই তো করতে হবে!’
৫০তম ওভার: রুবেল আগের ওভারে ৮ রান দেওয়ায় আফগানদের জন্য শেষ ওভারের সমীকরণ হয়ে যায় আরেকটু কঠিন—৬ বলে ১৩। তাসকিন আহমেদকে ডেকে সাহস রাখতে বললেন অধিনায়ক। আর বললেন, ‘উইকেট নিতে হবে।’ স্লগ ওভারে তাসকিনের শক্তিও ইয়র্কারে। তবে ইয়র্কারই বেশি মারবেন, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখেননি। ব্যাটসম্যানের মুভমেন্ট বুঝেই বল ছাড়ার চিন্তা ছিল বোলিং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা তাসকিনের। সঙ্গে রুবেলের মতো রান না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা তো ছিলই।
পরশু শেষ ২ ওভারে রুবেল-তাসকিন কী করেছেন, সেটা এখন সবার জানা। দুজনই পরিকল্পনায় সফল। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান গ্রেট কোর্টনি ওয়ালশ ড্রেসিংরুম থেকে এই দুই পেসারের বোলিং দেখে রীতিমতো মুগ্ধ। কাল অনুশীলন শেষে মিরপুর থেকে হোটেলে ফেরার আগে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ বলছিলেন, ‘শেষ ২ ওভারে দুজনই অসাধারণ বল করেছে। এর আগে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ওভারটা করে সাকিব খেলার গতি ঠিক করে দেয়। অন্যরাও তাতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।’
শেষ ওভারে তাসকিনকে ড্রেসিংরুম থেকে নির্ভার হয়ে বল করার বার্তা দেওয়া হয়। অনুশীলনে যা যা করেছেন, মনে করিয়ে দেওয়া হয় সেসব। ওয়ালশের বিশ্লেষণ, ‘সবাই চেষ্টা করছিল যার যার দিক থেকে সর্বোচ্চটা করতে। অনেক দিন ধরে আমরা খেলার মধ্যে ছিলাম না, সে জন্য সবাই একটু আড়ষ্ট ছিল। প্রথমে ওরা একটু তাড়াহুড়া করলেও পরে সবাই-ই খুব ভালো করেছে।’ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় মাশরাফি বিন মুর্তজাও ভিজেছেন তাঁর প্রশংসায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবৈধ অ্যাকশনের জন্য বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়লেও কোনো ম্যাচ মিস হয়নি তাসকিনের। কিন্তু একটা ঝড় তো ঠিকই বয়ে গেছে তাঁর ওপর দিয়ে! সেটা দারুণভাবে কাটিয়ে ওঠায় পেলেন ওয়ালশের প্রশংসা, ‘খেলার আগে সে একটু চাপে ছিল। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই এ রকম একটা ম্যাচ খেলল। শুরুতে কিছুটা সমস্যায় পড়লেও ওর কাছ থেকে আমরা যা চেয়েছি, সে তাই দিয়েছে। যেভাবে ফিরে এল, এর কৃতিত্ব ওকে দিতেই হবে। তা না হলে ওর জন্য ম্যাচটা খুবই খারাপ হতে পারত, আমরাও হেরে যেতে পারতাম।’
রুবেলের জন্যও কম কঠিন ছিল না পরশুর ম্যাচ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে সর্বশেষ আন্তর্জতিক ম্যাচ খেলেছিলেন গত বছরের ১৫ জুলাই। পাঁজরের সমস্যায় এর পর থেকেই মাঠের বাইরে। প্রায় দেড় বছর পর মাঠে নেমে শুরুতে আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দূর হয়ে গেছে সেটা। শেষ দিকে তো ম্যাচ জেতানোর জেদই ভর করেছিল তাঁর মধ্যে, ‘শুরুতে আমার, তাসকিন কারও বলই ভালো হচ্ছিল না। তাসকিন এসে বলেছিল, আমরা তো কেউই সুবিধা করতে পারছি না। তবে যা করার আমাদেরই করতে হবে। আমারও তাই মনে হয়েছে। আর এমন তো নয় যে, এ রকম পরিস্থিতিতে এদিনই প্রথম পড়েছি। আগেও আমরা এ ধরনের ম্যাচ জিতিয়েছি।’
অথচ বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে এসে প্রথম ম্যাচেই এমন পরিস্থিতিতে পড়ে ওয়ালশও পড়ে গিয়েছিলেন চিন্তায়, ‘আমরা স্নায়ুচাপে ভুগিনি, তবে একটু দুশ্চিন্তা তো ছিলই।’ তবে তাঁর বিশ্বাস ছিল, বোলাররা একবার ভালো করা শুরু করলে ম্যাচ জেতার ভালো সম্ভাবনা আছে। ‘ড্রেসিংরুমে আমরা আলোচনা করছিলাম, আমরা যদি দুইটা ওভার ভালো করতে পারি, উইকেট নিতে পারি, তাহলে পরিস্থিতি বদলাবে। শেষ পর্যন্ত তো অসাধারণ একটা ম্যাচই হলো’—ওয়ালশের কথায় ম্যাচ জেতার তৃপ্তি।
যে ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছে মূলত শেষ ২ ওভারে। কোর্টনি ওয়ালশের নতুন দুই শিষ্যের হাত ধরে।
৪৯তম ওভার: অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দিলেন। স্লগ ওভারের পরীক্ষিত ‘সৈনিক’ এই পেসার। বল হাতে নিয়েই রুবেলের প্রতিজ্ঞা, ‘আর যা-ই করি, রান দেব না। ইয়র্কার মারতে হবে। যা করার, আমাকে আর তাসকিনকেই তো করতে হবে!’
৫০তম ওভার: রুবেল আগের ওভারে ৮ রান দেওয়ায় আফগানদের জন্য শেষ ওভারের সমীকরণ হয়ে যায় আরেকটু কঠিন—৬ বলে ১৩। তাসকিন আহমেদকে ডেকে সাহস রাখতে বললেন অধিনায়ক। আর বললেন, ‘উইকেট নিতে হবে।’ স্লগ ওভারে তাসকিনের শক্তিও ইয়র্কারে। তবে ইয়র্কারই বেশি মারবেন, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখেননি। ব্যাটসম্যানের মুভমেন্ট বুঝেই বল ছাড়ার চিন্তা ছিল বোলিং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা তাসকিনের। সঙ্গে রুবেলের মতো রান না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা তো ছিলই।
পরশু শেষ ২ ওভারে রুবেল-তাসকিন কী করেছেন, সেটা এখন সবার জানা। দুজনই পরিকল্পনায় সফল। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান গ্রেট কোর্টনি ওয়ালশ ড্রেসিংরুম থেকে এই দুই পেসারের বোলিং দেখে রীতিমতো মুগ্ধ। কাল অনুশীলন শেষে মিরপুর থেকে হোটেলে ফেরার আগে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ বলছিলেন, ‘শেষ ২ ওভারে দুজনই অসাধারণ বল করেছে। এর আগে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ওভারটা করে সাকিব খেলার গতি ঠিক করে দেয়। অন্যরাও তাতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।’
শেষ ওভারে তাসকিনকে ড্রেসিংরুম থেকে নির্ভার হয়ে বল করার বার্তা দেওয়া হয়। অনুশীলনে যা যা করেছেন, মনে করিয়ে দেওয়া হয় সেসব। ওয়ালশের বিশ্লেষণ, ‘সবাই চেষ্টা করছিল যার যার দিক থেকে সর্বোচ্চটা করতে। অনেক দিন ধরে আমরা খেলার মধ্যে ছিলাম না, সে জন্য সবাই একটু আড়ষ্ট ছিল। প্রথমে ওরা একটু তাড়াহুড়া করলেও পরে সবাই-ই খুব ভালো করেছে।’ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় মাশরাফি বিন মুর্তজাও ভিজেছেন তাঁর প্রশংসায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবৈধ অ্যাকশনের জন্য বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়লেও কোনো ম্যাচ মিস হয়নি তাসকিনের। কিন্তু একটা ঝড় তো ঠিকই বয়ে গেছে তাঁর ওপর দিয়ে! সেটা দারুণভাবে কাটিয়ে ওঠায় পেলেন ওয়ালশের প্রশংসা, ‘খেলার আগে সে একটু চাপে ছিল। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই এ রকম একটা ম্যাচ খেলল। শুরুতে কিছুটা সমস্যায় পড়লেও ওর কাছ থেকে আমরা যা চেয়েছি, সে তাই দিয়েছে। যেভাবে ফিরে এল, এর কৃতিত্ব ওকে দিতেই হবে। তা না হলে ওর জন্য ম্যাচটা খুবই খারাপ হতে পারত, আমরাও হেরে যেতে পারতাম।’
রুবেলের জন্যও কম কঠিন ছিল না পরশুর ম্যাচ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে সর্বশেষ আন্তর্জতিক ম্যাচ খেলেছিলেন গত বছরের ১৫ জুলাই। পাঁজরের সমস্যায় এর পর থেকেই মাঠের বাইরে। প্রায় দেড় বছর পর মাঠে নেমে শুরুতে আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দূর হয়ে গেছে সেটা। শেষ দিকে তো ম্যাচ জেতানোর জেদই ভর করেছিল তাঁর মধ্যে, ‘শুরুতে আমার, তাসকিন কারও বলই ভালো হচ্ছিল না। তাসকিন এসে বলেছিল, আমরা তো কেউই সুবিধা করতে পারছি না। তবে যা করার আমাদেরই করতে হবে। আমারও তাই মনে হয়েছে। আর এমন তো নয় যে, এ রকম পরিস্থিতিতে এদিনই প্রথম পড়েছি। আগেও আমরা এ ধরনের ম্যাচ জিতিয়েছি।’
অথচ বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে এসে প্রথম ম্যাচেই এমন পরিস্থিতিতে পড়ে ওয়ালশও পড়ে গিয়েছিলেন চিন্তায়, ‘আমরা স্নায়ুচাপে ভুগিনি, তবে একটু দুশ্চিন্তা তো ছিলই।’ তবে তাঁর বিশ্বাস ছিল, বোলাররা একবার ভালো করা শুরু করলে ম্যাচ জেতার ভালো সম্ভাবনা আছে। ‘ড্রেসিংরুমে আমরা আলোচনা করছিলাম, আমরা যদি দুইটা ওভার ভালো করতে পারি, উইকেট নিতে পারি, তাহলে পরিস্থিতি বদলাবে। শেষ পর্যন্ত তো অসাধারণ একটা ম্যাচই হলো’—ওয়ালশের কথায় ম্যাচ জেতার তৃপ্তি।
যে ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছে মূলত শেষ ২ ওভারে। কোর্টনি ওয়ালশের নতুন দুই শিষ্যের হাত ধরে।
No comments:
Post a Comment